বগুড়ার ধুনটে অবাধে বিক্রি হচ্ছে ইছামতি নদীর পাড়ে রাখা মাটি। নদী খননের সময় মাটিগুলো উত্তোলন করে পাড়ে রাখে খনন কাজে সংশ্লিষ্টরা। পরে দীর্ঘদিন পার হওয়ার পর সময়ের সুযোগে দিনে ও রাতে মাটিগুলো অবাধে বিক্রি করছে একটি চক্র।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চিকাশী ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের ইছামতি নদীর মাটি বিক্রি করে আসছে ওই গ্রামের মানিক, ডাবলু, আকাশ, ফারুকসহ বেশ কয়েকজন।
মানিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি মাটি বিক্রির সাথে জড়িত নই। ডাবলু মেম্বার মাটি বিক্রির সাথে জড়িত বলে তিনি জানান।
অপরদিকে ডাবলু মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি মাটি বিক্রির সাথে জড়িতে নই। মূলত মানিক ও আকাশ মাটি বিক্রি করে আসছে।
এই মাটি কিভাবে বিক্রি হচ্ছে? কার অনুমতিতে বিক্রি হচ্ছে? আদৌ অনুমোদন আছে কিনা তার কোন উত্তর দিতে পারেনি মানিক। তবে স্থানীয়রা বলছে মাটি কাটার কারণে সড়কের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি ধুলা বালিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। মাটিবাহী যান চলাচলের কারণে ভেঙ্গে যাচ্ছে নদীর পাড়। বিলিন হচ্ছে ফসলি জমি।
ধুনট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে খোঁজ নিতে বললে তারা জানায় জমি থেকে মাটি অপসরনের কথা বলা হয়েছে। যদি অসাধু ব্যবসায়ীরা মাটি বিক্রি করে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।