বগুড়ায় বাড়ি থেকে বাহিরে যাওয়ার পর মহিদুল ইসলাম (৪১) নামের এক ব্যবসায়ী নিখোঁজ হয়েছেন বলে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি হয়েছে। পরিবারের দাবি,গত ১১জুন মঙ্গলবার রাত ৯ টায় মহিদুলের ফোন নাম্বারে একটি ফোন আসে।এই ফোন পাওয়ার পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় এরপর থেকে আজ পর্যন্ত সে নিখোঁজ হয়ে আছে।
মহিদুল বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কুতুবপুর গ্রামের মৃত মনছের আলী প্রামাণিকের ছেলে। কুতুবপুরে তার ব্যাকারীর ব্যবসা আছে। মহিদুলের স্ত্রী মোছাঃ জনি আক্তার আলোর পথকে মুঠোফোনে জানান,
গত ১১ জুন মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে আমার স্বামীর ফোনে তার বন্ধু স্যানেটারী ব্যবসায়ী সবুর ফোন করে পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যায়।আমার স্বামীর সাথে ব্যবসায়ী সবুরের খুবি ভালো সম্পর্ক ছিলো এ সুএে প্রায় ১৬ লাখ টাকা বিভিন্ন সময় তাকে ধার দেয়।এই টাকা চাওয়া কেন্দ্র করে নিখোজ হওয়ার কয়েকদিন আগের তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। সেই টাকা দেওয়ার কথা বলেই তাকে ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি তার ব্যবহারকৃত মোবাইল ফোন টি বন্ধ পাওয়া যায়। তারপর তার বন্ধুকে ফোন করে আমি জানতে চাই আমার স্বামী কোথায় সবুর বলে সন্ধ্যার পর থেকে তার সাথে আমার দেখা হয়নি। জনি আক্তার আরও বলেন, ‘আমার স্বামীর কোনো শত্রু নেই। সে খুব ভালো ছিল। কোনো দিন কারও সঙ্গে কোনো ঝামেলা হইছে শুনিনি। কুতুবপুর সে ব্যাকারীর ব্যবসা করত। কিন্তু কী হয়ে গেল লোকটার। সে তো আর বাসায় আসল না।
নিখোঁজ মহিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ সোহান কবির বলেন, বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে আমার বাবাকে না পেয়ে গত ১২ জুন বুধবার আমার মা মোছা: জনি আক্তার বাদি হয়ে, সারিয়াকান্দি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
থানায় সাধারণ ডায়রী করার পরে এক সপ্তাহ হয়ে গেলেও নিখোজ মহিদুল কে খুজে না পাওয়ায় তার পরিবারে লোকজন ও গ্রামবাসী মিলে কুতুবপুর বাজারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল প্রদর্শন করে।
এবিষয়ে সারিয়াকান্দি থানার অফিসার তদন্ত (ওসি) দুরুল হুদা বলেন,মহিদুল নিখোঁজের একটি সাধারণ ডায়রী হয়েছে।তাকে খুজতে পুলিশ ডিবি একএে কাজ করছে।