সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে মরুভূমির ফল রকমেলন চাষ হচ্ছে। এ ফসলটি অল্প সময়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মাঝে বেশ আগ্রহ সৃষ্টি করছে। তাছাড়া সুস্বাদু এ ফলের চাহিদাও বাজারে ভালো বলে জানান কৃষকরা।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আব্দুল হান্নান জানান, উন্নয়ন প্রচেষ্টা নামের একটি বেসরকারী সংস্থা থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে ২০ শতাংশ পরিমান জমিতে বানিজ্যিক ভাবে রকমেলন ফল চাষ করেন। প্রথমবার হলেও ফলন খুবই ভালো হয়েছে বলে জানান এই কৃষক। তিনি বলেন, ২০ শতাংশ পরিমান জমিতে ৪০ মন রকমেলন উৎপাদন হয় তার। ২ হাজার ৪০০ টাকা মন দরে ৯৬ হাজার টাকা বিক্রি করেন উৎপাদিত রকমেলন ফল। এতে ৪৫ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ উঠিয়ে ৪০ হাজার টাকা লাভ হয়েছে বলে জানান তিনি।
কৃষক আব্দুল হান্নান বলেন, বীজ রোপন থেকে রকমেলন উত্তোলন পর্যন্ত ৭০ দিন সময় লেগেছে তার। যা অন্য যে কোনো ফসলের তুলনায় খুবই সল্প সময়ে একটি লাভজনক ফসল রকমেলন। আগামীতে আরো বেশি জমিতে ফসলটি চাষ করবেন বলে জানান তিনি।
একই উপজেলার ভায়ড়া গ্রামের কৃষক সোহাগ হোসেন জানান, ১০ শতাংশ পরিমান জমিতে পরিক্ষামুলক ভাবে রকমলেন ফল চাষ করে বেশ সাফল্য পেয়েছেন তিনি। ১০ শতাংশ জমিতে ২২ মন রকমেলন উৎপাদন করেছেন। খুলনা জেলার এক ব্যাপারী তার ক্ষেত থেকেই ২ হাজার টাকা মন দরে সমস্ত রকমেলন কিনে নিয়ে গেছে।
কৃষক সোহাগ বলেন, জমি চাষ, বীজ রোপন, সেচ দিয়ে মোট ২০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ হয় তার। সেখানে উৎপাদিত রকমেলন বিক্রি হয়েছে ৪৪ হাজার টাকা। এতে ২৪ হাজার টাকা লাভ হয়েছে বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্বরত কৃষি কর্মকর্তা নয়ন হোসেন জানান, তালা উপজেলার নগরঘাটা ও তেতুলিয়া ইউনিয়নের ৫ জন কৃষককে রকমেলন চাষের উপর উন্নত প্রশিক্ষন দেয়ার পর বানিজ্যিক ভাবে ফসলটি চাষ করেছেন তারা। চাষিরা বলেন প্রতিটি রকমেলন ২ থেকে আড়াই কেজি পর্যন্ত ওজন হয়েছে। ফসলটি উৎপাদন প্রথমবা হলেও তারা প্রত্যেকেই লাভবান হয়েছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা।