সুনামগঞ্জের বেশ সবকটি নদ-নদীর পানি ফের বাড়তে শুরু করেছে। ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় প্রতিনিয়ত নামছে পাহাড়ি ঢল। এতে করে সুরমা, কুশিয়ারা ও যাদুকাটা নদ-নদীর পানি অনেক বেড়ে গেছে। সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঈদের আগে বন্যাআতংকে সময় পার করছেন সুনামগঞ্জের ২০ লাখ মানুষ।
নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও ধর্মপাশাসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার নিম্নাঞ্চলের পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষ নির্ঘুম রাত পার করছেন।
তারা বলছেন, যেভাবে নদীর পানি বাড়ছে যদি ঈদের আগে বন্যা হয় তাহলে ঈদ আনন্দে ভাটা পড়বে। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আতংকও বাড়ছে।
তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা আব্দুল লতিফ বলেন, বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের নদ-নদীর পানি তেমন বৃদ্ধি পায় না। তবে ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হলে পাহাড়ি ঢল নামে। তখন সুনামগঞ্জের সব নদীর পানি দ্রুত বেড়ে বন্যা হয়।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকায় সুনামগঞ্জের সব নদীর পানি বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় চেরাপুঞ্জিতে প্রায় ২০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, যখন চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি হয় তখন সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি বাড়ে। চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি বাড়লে পাহাড়ি ঢল নেমে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। তবে সেখানে বৃষ্টি কম হলে সুনামগঞ্জে বন্যা হওয়ার কোনও আশংকা নেই।