যশোরের চৌগাছার আড়পাড়া সড়কে একটি স্থান চরম ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ইছাপুর গ্রামে প্রবেশ মুখে সড়কটিতে অল্প বৃষ্টি হলেই দিনের পর দিন পানি জমে থাকছে। পানি বের হওয়ার কোন ব্যবস্থা না থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে জানান স্থানীয়রা। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা না হলে গুরুত্বপূর্ণ সড়কের ওই স্থানটিতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা মনে করছেন পথচারীসহ এলাকাবাসি। চৌগাছা-আড়পাড়া সড়ক অত্যান্ত জনগুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। উপজেলা সদর হতে মাত্র এক কিলোমিটার অদুরে ইছাপুর গ্রামের মাঝে সড়কের একটি স্থান পানি জমে থাকার করনে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে থাকছে পানি, প্রায় এক বছরের অধিক সময় ধরে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। গত ১৯ মে মাত্র এক ঘন্টার বৃষ্টিতে তিন দিন ধরে সেখানে পানি জমে ছিলো বলে জানান সড়কে চলাচলকারীরা। পানি জমে থাকায় বাড়তি সতর্কতার সাথে চলতে হচ্ছে সকলকে। বিশেষ করে ছোটখাটো যান যেমন ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, ভ্যান, বাইসাইকেল, মটরসাইকেল চালককে সতর্ক হয়ে স্থান পার হতে হচ্ছে। পানি জমে থাকায় ইতোমধ্যে সেখানে সড়কের পিচ, ইট খোয়া উঠে সৃষ্টি হয়েছে গর্তের। যে কারনে প্রায় দিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কে নিয়মিত চলাচল করেন ভ্যানচালক মোঃ মধু। তিনি বলেন, ইছাপুর বটতলা ছেড়ে গেলেই সড়কের অর্ধশত হাত নষ্ট হচ্ছে শুধু পানি জমে থাকার কারনে সকলের চোখে পড়বে। এক বছরের বেশি সময় ধরে এমনটি সৃষ্টি হলেও পানি বের করা কিংবা সড়কটি মেরামতের কোন উদ্যোগ নেইনি কেউ। স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, সড়কের ওই স্থানটির দুই পাশেই মাটি দেয়ার কারনে পাশ উঁচু আর সড়ক নিচু হয়ে গেছে। সড়কের পাশে পানি বের হওয়ার কোন জায়গা নেই, যার ফলে সেখানে জমে থাকছে নষ্ট হচ্ছে সড়ক বাড়ছে দুর্ঘটনার আশংকা। ইজিবাইক চালক বিল্লাল হোসেন, আবু বক্কর বলেন, বৃষ্টির পানি জমে থাকায় সড়কটি দেখতে দেখতে নষ্ট হয়ে গেল। আমরা সকাল হতে রাত অবধি সড়কটিতে চলাচল করি। ভাঙ্গা ওই স্থানে গেলে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, শুধু তাই না বৃষ্টি হলেই এক পাশে দিনের পর দিন পানি জমে থাকায় শুকনো স্থান দিয়ে সকলেই যেতে চাই সে কারনে দুর্ঘটনা ঘটার আশংকা বেশি।
সড়কটি দিয়ে উপজেলার ইছাপুর, সাদিপুর, রুস্তমপুর, পুড়াহুদা, স্বর্পরাজপুর, জামিরা, ঝিনাইকুন্ড, মাড়–য়া, দক্ষিনসাগর, আড়পাড়া, সৈয়দপুর, কান্দিসহ পাশ্ববর্তী কালিগঞ্জ উপজেলার কয়েক গ্রামের মানুষ নিয়মিত চলাচল করেন। এ সব গ্রামের অসংখ্য ছেলে মেয়েরা চৌগাছার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত, তারা ঝুকি নিয়ে চলছে সড়কে। পাশাপাশি গ্রাম এলাকা গুলো কৃষি নির্ভর হওয়ার সুবাদে প্রতি দিনই কোন কোন সবজি নিয়ে তারা ছুটে আসেন চৌগাছা বাজারে। পানি জমে সড়ক নষ্ট হওয়ায় তাদেরও বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে জানান কৃষকরা।
পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বলেন, সড়কটি আমাদের আওতায় না হওয়ায় তেমন কোন ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না, তারপরও জনদুর্ভোগ বিবেচনা করে বিষয়টি নিয়ে আমি পরিষদে আলোচনা করব।
উপজেলা প্রকৌশলী রিসায়াত ইমতিয়াজ বলেন, বিষয়টি জানা না থাকায় কোন পদক্ষেপ গ্রহন করা সম্ভব হয়নি, দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন পূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।