দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার কৃষ্ণরামপুর ফাজিল স্নাতক মাদ্রাসায় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সভাপতি কে মারধর করে। গত শনিবার ২৫ মে বিকাল সাড়ে ৫ টায় কৃষ্ণরামপুর ফাজিল স্নাতক মাদ্রাসায় বিকাল সাড়ে ৫ টায় এই ঘটনা ঘটে।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, উক্ত মাদ্রাসায় একজন অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগের জন্য পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সকল গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৫ দিন মেয়াদের মধ্যে আসামীপক্ষের প্রার্থী চাকুরী চেয়ে আবেদন করতে ব্যার্থ হয়। প্রত্রিকার দেওয়া মেয়াদ উত্তীনের পর আসামীগণ যেকোন ভাবে জানতে পারিয়া আসামী জাহাঙ্গীর আলম এর লোক নিতে হবে মর্মে আসামী জাহাঙ্গীর আলম আমাকে চাপ প্রয়োগ করিতে থাকে। ঐ সময় আমি আসামী জাহাঙ্গীরকে বলি উক্ত নিয়োগের ব্যাপারে বিধি মোতাবেক রেজুলেশনের মাধ্যমে ও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর এবং উক্ত নিয়োগ পরীক্ষায় আপনার লোক যা প্রার্থী সঠিক ভাবে আবেদন করিতে ব্যার্থ হয়। তখন উক্ত বিষয়ে আসামী জাহাঙ্গীর আমাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকী দিয়ে প্রকাশ করে যে, তাহার লোককে যদি উক্ত পদে নিয়োগ না দেওয়া হয় তাহা হইলে জাহাঙ্গীর তাহার লোকজন লইয়া আসিয়া আমাকে মারপিট ও খুন যখম করিবে।
এই অবস্থা চলাকালে ইং ২৫ তাং বিকাল অনুমান সাড়ে ৫ টায় কৃষ্ণরামপুর এলাকায় করতোয়া নদীর পাড়ে কচুর ক্ষেতে আমি কাজ করাকালে এজাহারে বর্ণিত আসামীগণ একই উদ্দেশ্যে হাতে লাঠি, লোহার রড, ধারালো চাকু, প্লাস অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী জনতায় দলবদ্ধ হইয়া আমার জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করিয়া আমাকে অশ্লীল ভাষায় গালি গালাজ করিতে থাকে। উক্ত সময় আমি আসামীগণকে গালি গালাজ করিতে নিষেধ করা মাত্রই আসামী জাহাঙ্গীর সে আমাকে মারপিট খুন জখম করার হুকুম দিলে অপর আসামীরা আমাকে লাঠি ও লোহার রড দ্বারা এলোপাথারী ভাবে মারপিট করিতে থাকে। ফলে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে কালশিরা পড়িয়া আঘাত প্রাপ্ত হয়। উক্ত সময় আসামী মোঃ সাহিনুর আলম সে হত্যার উদ্দেশ্যে তাহার দুই হাত দিয়ে আমার গলা টিপিয়া ধরে। ফলে আমার স্বাসবন্ধ হইয়া মৃত্যুর উপক্রম হইয়া মাটিতে পড়িয়া যাই। সেই সময় আসামী মো. গোলাম রব্বানী এর হাতে থাকা ধারালো চাকু দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বুকে আঘাত করিলে আমি ঝটকা দিয়ে সরিয়া গেলে উক্ত আঘাত আমার ডান পায়ের মধ্যমা আঙ্গুলে লাগিয়া গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়। ঘটনার সময় আমি প্রান রক্ষার্থে ডাকচিৎকার করিলে আশ পাশের লোকজন আগাইয়া আসতে থাকে। তখন আসামী আয়নাল হক ওয়াকিল তাহার হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আঘাত করিলে আমি প্রান রক্ষার্থে উক্ত আঘাত আমার ডান হাত দিয়ে ঠেকাইলে আমার ডান হাতের কবজিতে লাগিয়া হাড়ফাটা জখম প্রাপ্ত হয়। ঐ সময় আসামীরা আমাকে টানা হেচড়া করিয়া করতোয়া নদীতে লইয়া গিয়া সকলে মিলে আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে করতোয়া নদীর পানিতে ঠেসিয়া ধরে। ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন ও সাক্ষীরা আমাকে আসামীদের হাত হইতে রক্ষা করে।