1. dailysonbad@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. newsroom@dailysongbad71.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
শৈলকুপার ডাকুয়া নদীর অস্তিত্ব শুধু মানচিত্রে | দৈনিক সংবাদ ৭১
বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ১১:০৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
যশোর শহরের বুক ডিপোতে দিনেদুপুরে ক্যাশবাক্স ভেঙে দেড় লাখ টাকার চুরি রাজশাহীতে আলুর হিমাগারের ভাড়া নির্ধারণে সমঝোতা সিরিয়ার আকাশ দিয়ে ইরানে বোমা ফেলছে ইসরায়েল: নীরব সরকার, বাড়ছে ক্ষোভ ফের ইসরায়েলের উপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, পালটা জবাব তেলআবিবের যশোরে প্রাইভেটকার থামিয়ে ‘নগদ’-এর ৫৫ লাখ টাকা ছিনতাই গাজায় ত্রাণ নিতে আসা জনতার ওপর ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৫১ সিরিয়ায় আরও দুটি ঘাঁটি ছাড়লো যুক্তরাষ্ট্র ভাঙ্গায় র‍্যাব-পুলিশের অভিযানে ১০ কেজি গাঁজা, ১৩৭৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার: গ্রেফতার ১১ যশোর সীমান্তে বিপুল পরিমাণ মাদক ও চোরাচালানি পণ্য আটক ১৭ জুন বিশ্ব মরুময়তা ও অনাবৃষ্টি প্রতিরোধ দিবসে চৌগাছায় এবি পার্টির বৃক্ষরোপণ

শৈলকুপার ডাকুয়া নদীর অস্তিত্ব শুধু মানচিত্রে

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪
  • ১৬৮ বার দেখা হয়েছে

ঝিনাইদহের শৈলকুপার ডাকুয়া নদী ও খালের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। চলে গেছে ভূমিদস্যুদের দখলে। শুধু মানচিত্রে ঠাঁই হয়েছে সরকারি খাল ও নদীটির। সরকারি নদী ও খাল রক্ষায় সরকার ও প্রধানমন্ত্রী সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিলেও শৈলকুপায় বাস্তবে এই নদী ও খালের এখন কোনো অস্তিত্ব নেই! যে ডাকুয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলার কাঁচেরকোল ইউনিয়ন ও আশপাশে সমৃদ্ধ জনপদ গড়ে ওঠে, সে ডাকুয়া নদীই এখন মৃত। ডাকুয়া নদী ও খাল ভূমিদস্যুদের হাত থেকে পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার ৫ নম্বর কাঁচের কোল ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে ডাকুয়া খাল উত্তর মির্জাপুর থেকে বৃত্তিপাড়া পর্যন্ত ২ কিমি এলাকাজুড়ে থাকলেও এখন এর কোনো নমুনা পাওয়া যায়নি। এটি উত্তর মির্জাপুর মৌজার ৭৩৪ দাগে গিয়ে পড়েছে। ম্যাপে ছাড়া বাস্তবে ডাকুয়া নদীর কোনো অস্তিত্ব নেই। দখলদাররা বিভিন্ন ফসল চাষাবাদ করছে, গাছগাছালিসহ দোকানপাট ও পাকা স্থাপনাও তৈরি করেছে পুরা এলাকায়। আবার কোথাও কোথাও সম্পূর্ণ ভরাট করে বিলীন করে দেওয়া হয়েছে এর অস্তিত্ব। সিএস রেকর্ডে ডাকুয়া নদীর শাখা-প্রশাখা সরকারি খাল হিসেবে থাকলেও তবে বর্তমানে খালের জায়গা প্লট আকারে বিভিন্ন ব্যক্তি নামে রেকর্ড হওয়ায় অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে খালটি । সূত্র জানায়, ডাকুয়ার বিস্তৃতি এতটাই বড় ও চওড়া ছিল যা স্থানীয়রা নদী হিসেবে থাকলেও বাস্তবে এর শাখা-প্রশাখা ব্যক্তি নামে নামে রেকর্ড করে দিয়েছে সরকারের অসাধু কর্মকর্তারাই। ডাকুয়ার বেশ কয়েকটি শাখা-প্রশাখা ছিল যা নদীর মতোই প্রবহমান ও ভরা যৌবন ছিল। এই নদী ও খালকে ঘিরে কৃষি, চাষাবাদ হতো মাঠের পর মাঠ। জেলেরা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করত, গড়ে ওঠে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের বসতি। স্বাধীনতার আগে এই খালকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষ তাদের জীবিকা নির্বাহসহ যাবতীয় কাজ করত সরকারি বিশাল খালের ওপর নির্ভর করে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, স্বাধীনতার পর নানা সময় ও আরএস জরিপে উত্তর মির্জাপুর অংশে খালের ৮১ ও ৫৬৮ নম্বর দাগ বিভিন্ন ব্যক্তির নামে রেকর্ড হয়েছে। সেটেলমেন্ট ও ভূমি অফিসের দুর্নীতিগ্রস্ত অসাধু কর্মকর্তারা এসব সরকারি খালের জায়গা বিলীন করে দিয়েছে।ডাকুয়া নদী ও খালের বর্তমান কিছু অংশের রেকর্ডমূলে মালিক বাবলু জোয়ার্দার বলেন, আমার বাপ-দাদাদের আমল থেকে এই জমি আমরা ভোগদখল করছি। এটা সরকারি খাল বা নদীর জায়গা নয়। স্থানীয় বাসিন্দা শামীম বিন সাত্তার জানান, বাবাদের কাছে শুনেছি এখানে ডাকুয়া নামে বড় নদী ছিল। এখন সবকিছুর অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেছে। ইচ্ছামতো দখলদাররা নদী দখল করে নিয়েছে। সরকারি খালের আরএস রেকর্ড বাতিলসহ অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। ডাকুয়া খাল ও নদী রক্ষায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভূমি অফিস বরাবর বেশ কয়েকবার চিঠি দিয়েও কোনো ফল পাচ্ছি না।কাঁচেরকোল ইউপি চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন জোয়ার্র্দার বলেন, ডাকুয়া নদী ভূমিদস্যুরা দখল করে নিয়েছে, বর্তমানে এর কোনো অস্তিত্ব নেই। দখলদারদের কাছ থেকে ডাকুয়া নদী ফিরিয়ে আনা এখন সময়ের দাবি। শৈলকুপার সহকারী কমিশনার (ভূমি) বনি আমিন বলেন, সরকারি খাল ও নদীর জায়গা উদ্ধারে ব্যসস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি এসব জায়গা উদ্ধারে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ^াসও দিয়েছেন।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2024, All rights reserved. এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট