1. dailysonbad@gmail.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
  2. newsroom@dailysongbad71.com : বার্তা বিভাগ : বার্তা বিভাগ
বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
উপজেলার উপরেই চাঁদা বাজের হাতে দলিল লেখক ও ব্যবসায়ীরা অতিষ্ঠিত ।। মো. সাকির হাওলাদার  জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী  যশোরের চৌগাছায় আইন শৃংখলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত যশোরের চৌগাছায় ব্যবসায়ীর টাকা ছিনাতাইয়ের অভিযোগে ৪ ছিনতাইকারী আটক আশাশুনির বুধহাটা বাজারে মোটরসাইকেল ও ট্রলির ধাক্কায় এক যুবক নিহত।। শিল্পী ও সাবেক এমপি মমতাজের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন দিরাইয়ে ব্যবসায়ীর জায়গা দখল করে খাচ্ছেন প্রভাবশালী। হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম: প্রধান বিচারপতি প্রথমবার চট্টগ্রামে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ৫৪ বছরের সবচেয়ে বড় দুটি অর্জন ৭১ আর ২৪ : তারেক রহমান

চৌগাছায় কপোতাক্ষ নদে বৃটিশদের তৈরী ভাঙ্গা ব্রিজটি ইতিহাসের স্বাক্ষী

মেহেদী হাসান শিপলু, স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০২৪
  • ১৪৭ বার দেখা হয়েছে

যশোরের চৌগাছার পাশ দিয়ে বয়ে চলা কপোতাক্ষ নদে আজও ঠাই দাঁদিয়ে আছে বৃটিশদের হাতে তৈরী ব্রিজের ধ্বংশাবশেষ। নদ খননের কারনে ঐতিহাসিক এই স্থাপনা থাকবে কিনা তা নিয়ে দেখা দিয়েছে শংসয়। তবে ভবিষ্যাত প্রজন্মের জন্য এটিকে সংরক্ষন করা জরুরী এমনটিই মন করছেন সচেতন মহল। চৌগাছা পৌর সদরের পশ্চিমপাশ দিয়ে বয়ে গেছে কপোতাক্ষ। বৃটিশ শাসনামলে খরস্রোতা কপোতাক্ষ নদ পারাপারের জন্য বর্তমান বড় মাছ বাজারের নিচে নির্মান করা হয় একটি সুবিশাল ব্রিজ। জনশ্রতি আছে কপোতাক্ষের প্রবল স্রোতের কারনে ইট আর চুন সুড়কি দিয়ে নির্মিত ব্রিজ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি, স্রোতের দাপটে তা উপড়ে যায়। নদের পশ্চিম পাশে ব্রিজের অবশিষ্ঠ আজও বিদ্যামন। নদ খননের ফলে ব্রিজের ভাঙ্গা অংশ থাকবে কিনা দেখা দিয়েছে শংসয়। কংশারীপুর গ্রামের দামোদার আলী, তারিনিবাস গ্রামের বয়োবৃদ্ধ ফজলুর রহমান, স্বরুপদাহ গ্রামের জহুরুল ইসলাম বলেন, কপোতাক্ষ নদ তথা নদের ভাঙ্গা ব্রিজ এখন শুধুই স্মৃতি। দেশ স্বাধীনের পরেও আমরা দেখেছি কপোতাক্ষে অঢেল পানি। তারও আগের কথা বর্তমানে যেখানে ব্রিজটি ভেঙ্গে আছে সেখানে একটি দোয়া আছে। সচারচার মানুষ স্থানটিতে যেতেন না। জেলেরা মাছ ধরতে গেলেও দোয়ার পাশ দিয়ে চলাচল করতো। বাবা দাদাদের মুখে শুনেছি বৃটিশরা তাদের সুবিধার্তে দোয়ার পাশ দিয়ে ওই ব্রিজটি নির্মান করেন। কিন্তু বেশি দিন স্থায়ী হয়নি, পানির স্রোতের দাপটে ব্রিজ উপড়ে যায়। এরপর বর্তমানে চৌগাছা ব্রিজের সন্নিকটে খেয়া পারাপার শুরু হয়। বর্ষা মৌসুমে কংশারীপুর মহল্লা ছাড়িয়ে যেত পানি। সেখান থেকে মানুষ খেয়া পারাপার হতেন। নদের ওই সময়ের কাক চক্ষু পানি আর মাছের সমাহার আজ শুধুই অতীত। পৌরসভার কালিতলা মহল্লার বাসিন্দা আব্দুর রশিদ, রবিন্দ্র নাথ বলেন, কপোতাক্ষ নদ তার যৌবন বহু আগেই হারিয়েছে। এখন নদ খনন চলছে, দেখে বেশ ভালই লাগে। নদটি যদি পরিপূর্ণ খনন হয়, তাহলে এর হারানো যৌবন হয়ত ফিরে আসবে না তবে কিছুটা হলেও সকলের কাছে ভাল লাগবে। স্মৃতিচারণ করতে যেয়ে তারা বলেন, বৃটিশদের শাসন শোসনের সময় চৌগাছাতে তারা অনেক কিছুই নির্মান করেন। তারমধ্যে ছিল কপোতাক্ষের ব্রিজ। কিন্তু পানির স্রোতের কারনে তা বেশি দিন স্থায়ী হয়নি এমনটিই শুনেছি। ব্রিজের যে ভাঙ্গা অংশটুকুও আজও দৃশ্যমান এটি সংরক্ষন করা জরুরী কেননা এই ধ্বংশাবশেষ থেকে আগামী প্রজন্ম আনেক কিছুই জানতে বা শিখতে পারবে। চৌগাছা পৌরসভার মেয়র নুর উদ্দিন আল মামুন হিমেল বলেন, যেহেতু কপোতাক্ষ নদের পশ্চিম পাশে আমরা একটি শিশুপার্ক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন। সে জন্য দর্শনীয় স্থান হিসেবে ভাঙ্গা ব্রিজ নদে রাখার ব্যাপারে আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলবো।

সামাজিক মিডিয়া এই পোস্ট শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ ক্যাটাগরীর আরো সংবাদ
© 2024, All rights reserved. এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। এখানে নিজস্ব সংবাদ প্রচার সহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদ সুত্র সহ প্রকাশ করা হয়। অনুগ্রহ পূর্বক কেহ অভিযোগ করিবেন না। তাছাড়াও কোন অভিযোগ থাকলে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হইলো।
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তাহোস্ট