মাদ্রাসার নামে গলাকাটা ব্যবসা কেন্দ্র!
যশোর আরবপুরে বেশ কয়েক বছর আগে চালু হয়েছে ছেলে মেয়েদের জন্য তানজিমুল উম্মাহ নামের মাদ্রাসা। মাদ্রাসার পরিবেশ বা নিয়মশৃঙ্খলা বেশ ভালো কিন্তু সেখানে পড়াতে চাইলে প্রথমেই খরচের বিষয় মাথায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, কারণ তাদের ওখানে নিয়মিত ফি এর বাইরেও ক্রেডিট কার্ডের মতো অন্যান্য অনেক খরচ আছে। তেমন কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিঃ
ভর্তি ফিঃ ভর্তির সময় ২৫০০০ টাকা দিতে হবে। এই টাকার মধ্যে একসেট পায়াজামা, পাঞ্জাবী ও এক সেট খেলার ড্রেস পাওয়া যাবে। এছাড়াও একসেট খাতা, একটা টুপি, প্লে, নার্সারির বইও দিবে।
মাসিক বেতনঃ শুরুতে ৩৫০০ টাকা মাসিক বেতন থাকলেও এখন ৪০০০ টাকা মাসিক বেতন। এক-দুই বছর পরপর মাসিক বেতন বাড়ছে।
ভর্তির সময় পঁচিশ হাজার টাকা নিলেও বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতার সময় প্রত্যেক ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে ৫০০ টাকা বাধ্যতামূলক আদায় করা হয়। আরো মজার বিষয় হলো ফেব্রুয়ারিতে বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা হলেও ৩-৪ মাস পরেও এখনো কোমলমতি বাচ্চাদের কোনো পুরষ্কার দেওয়া হয়নি।
গরমের কারণে ক্লাস রুমে এসি লাগানো হয়েছে। এটা যেহেতু তানজিমুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের একটা প্রতিষ্ঠান এবং এখান থেকে ইনকামের টাকা ফাউন্ডেশনে যায় সেহেতু তাদের উচিত ছিলো ফিক্সড এসেট হিসাবে এসি তে ইনভেস্ট করা। উনারা সকল গার্ডিয়ানদের কে জুম মিটিং এর জন্য নোটিশ দিলেন, মিটিং এ বললেন সম্মানিত অভিভাবক রা যে যা পারেন এসি ক্রয়ে সহোযোগিতা করবেন। ঠিক মিটিং এর দুইদিন পরে নোটিশ দিলেন যে সব স্টুডেন্ট প্রতি মিনিমাম ২০০০ টাকা করে এসিতে দিতে হবে এবং সবার আইডিতে ডিউ করে রাখলেন।
প্লে, নার্সারি কিংবা ক্লাস ওয়ানের একটা বাচ্চার পরীক্ষার জন্য কতোটুকু খাতার বা প্রশ্নের দরকার হয়? সেখানে পরীক্ষার ফি আদায় হচ্ছে ১২০০ টাকা করে। যেখানে নব কিশলয়ের মতো প্রাইভেট স্কুলে এসব ক্লাসের পরীক্ষার ফি নেওয়া হয় ৩০০ টাকা সেখানে তানজিমুল উম্মাহ মাদ্রাসায় ১২০০ টাকা পরীক্ষার ফিস।
এছাড়াও সারাবছর এ খাত, সে খাত দেখিয়ে বিভিন্নভাবে অভিভাবকদের পকেট কাটতেই থাকেন তারা। অনেক মধ্যবিত্ত অভিভাবক অভিভাবিকারা এগুলো নিয়ে প্রতিবাদ করেছে কিন্তু যেহেতু মাক্সিমাম অভিভাবক ধনী শ্রেণির তাই এগুলো নিয়ে কোনো প্রতিবাদ হয় না।