খুলনার দৌলতপুর থেকে হারিযে যাওয়া মানষিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী মধ্যবয়সী নারী দেড় বছর পর ফিরে পেলো তার আপন ঠিকানা।
পাইকগাছায়র উপজেলার লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান ও কাগজী প্রতিবন্ধী ট্রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা তুহিন তাকে পরিবারের হাতে তুলে দেন। এনিয়ে গত একবছরে তিনি তিনজন প্রতিবন্ধীকে পরিবারের কাছে তুলে দিয়েছেন।
দেড় মাস যাবৎ তার হেফাজাতে রয়েছে ৩০ বছরের বাক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী আরও এক যুবক।জানা যায়,সাতক্ষীরার পদ্ম পুকুর এলাকার শহিদুল ইসলামের মেয়ে খোদেজা বেগম (৫০)। বাগেরহাটের মৃত নুর মোহম্মদ গাজীর স্ত্রী। সংসারে রয়েছে এক ছেলে মোশাররফ (২০) ও এক মেয়ে রেশমা (১৮)। সে মানষিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে ২০২৩ সালের প্রথম দিকে খুলনার দৌলতপুর থেকে হরিয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। রোববার রাতে ভিলেজ পাইকগাছার বাসন্তী মন্দিরে দেখে স্থানীয় তুষার মন্ডল লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান ও কাগুজী প্রতিবন্ধী ট্রাষ্টের প্রতিষ্ঠাতা কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন কে মুঠোফোনে বিষয়টি অবহিত করেন।
তিনি ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে তার বাড়ীতে নিয়ে যায়। তার কাছ থেকে জেনে শুনে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার গাবুররা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছ থে ঠিকানা সংগ্রহ করেন। এবার তিনি পরিবারের সাথে যোগাযোগ করে তাদের ডেকে এনে সোমবার তার আপন ভাই শহিদুল ইসলামের হাতে তাকে তুলে দেন।এ নিয়ে গত এক বছরে ২ জনকে নিজ পরিবারের হাতে তুলে দিতে পেরেছেন।
তার হেফাজাতে আরও এক প্রতিবন্ধী যুবক দেড়বছর ধরে রয়েছে। তার এ প্রতিবন্ধীদের নিয়ে এসব কাজ করার কারণে ইতোমধ্যে তিনি প্রতিবন্ধীদের অভিভাবক খ্যাতি পেয়েছেন।