শিশু বয়স থেকেই দরিদ্র পরিবারের সহযোগিতা করত দুরন্ত আকাশ (১৮)। কিন্তু গাছ থেকে পড়ে জীবনের আনন্দ ফোয়ারা ¤øান হয়ে গেছে তাঁর। পঙ্গুত্ববরণ করে চিকিৎসার অভাবে অতি কষ্টে জীবনযাপন করছেন সে। কিন্তু কে দিবে চিকিৎসার খরচ। এই ভাবনায় দুর্বিষহ ও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন আকাশের দরিদ্র পিতামাতা। সন্তানের চিকিৎসার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। জানাগেছে, উপজেলার কান্দি গ্রামের দিনমজুর আশাদুল ইসলাম ও রোজিনা খাতুনের ছেলে মোঃ আকাশ (১৮)। ২০২২ সালে শেষের দিকে পরিবারের প্রয়োজনে গাছের পাতা পাড়তে সে মেহগনি গাছে ওঠে। পাতা পাড়া অবস্থায় গাছের ডাল ভেঙ্গে সে মাটিতে পড়ে যায়। এতে তার বাম চোখ নষ্ট হয়ে যায় ও ডান পা ভেঙ্গে যায়। মারাত্মক আহত অবস্থায় তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অপারেশনও করা হয়। কয়েকমাস চিকিৎসার পর তার পায়ের কোন উন্নতি হয়না। এই অবস্থায় দরিদ্র পিতামাতা আরো অসহায় হয়ে পড়ে। একপর্যায় লোকজনের নিকট থেকে সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নেয়া হয় আকাশকে। সেখানে কিছুদিন ভর্তিও রাখা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আকাশের পায়ের হাঁটুর মালা পরিবর্তন অথবা তাঁর পা হাঁটুর উপর থেকে কেটে বাদ দিয়ে কৃত্রিম পা সংযোজন করার পরামর্শ দেন। এতে চিকিৎসার জন্য খরচ হবে প্রায় ৩ লাখ টাকা। চরম হতাশা আর বুকভরা কষ্ট নিয়ে পরিবারের লোকজন অর্থের অভাবে আকাশকে চিকিৎসা করাতে না পেরে সন্তান নিয়ে বাড়ীতে ফিরে আসেন। ভূমিহীন দিনমজুর পরিবারের পক্ষে এত টাকার মাধ্যমে চিকিৎসার বহন করা আদৌ সম্ভব না।
আকাশের পিতা আশাদুল ইসলাম জানান, তারা ভূমিহীন। কোন জমি জায়গা না থাকায় অন্যের জমিতে কাজ করে সংসার চালান। সন্তানের চিকিৎসার জন্য এত টাকা জোগাড় করা সম্ভব না। সন্তানের জন্য আমাদেও ঈদেও দিনটাও ভালো যাবেনা। তিনি বলেন আকাশের একটি চোখ ভালো আছে। কিন্তু ওর পায়ের চিকিৎসাটি করা খুব দরকার। তা না হলে ওর জীবন অন্ধকার হয়ে যাবে। এ সময় তিনি সরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন। আকাশের পিতার মোবাইল নম্বর : ০১৩০৭৪৯৩২৮০ (বিকাশ)