বাঁচাও যশোর জংশন। কিন্তু দেখবে কে? বাংলাদেশের প্রথম স্বাধীন জেলা যশোর আজ অবহেলিত।
বর্তমানে খুলনা থেকে যশোর জংশন হয়ে সর্বমোট চারটি ঢাকাগামী ট্রেন চলমান আছে।
কিন্তু বাংলাদেশ রেলওয়ের পরবর্তী পরিকল্পনা অনুযায়ী পদ্মা লিংক রেল লাইন হয়ে শুধুমাত্র একটি আন্তঃনগর ট্রেন বেনাপোল থেকে ঢাকা রুটে, যশোর জংশন হয়ে ঢাকাতে দিনে একবার সরাসরি যাতায়াত করবে।
যশোর জংশন একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন হওয়ার পরেও কেন ঢাকাগামী ট্রেন থেকে সরাসরি বঞ্চিত হচ্ছে, এটার সুষ্ঠু সমাধান চাই।
যশোর এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করতেই হবে।
যশোর কমিউনিটি সবসময় যশোরের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন, সঠিক পরিকল্পনায় শহর এগিয়ে চলুক সেই প্রত্যাশা করে। সেই লক্ষে বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়ের যে পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে তার সাথে যশোর কমিউনিটি যশোরবাসীকে নিয়ে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করছে।
খুলনা হতে ঢাকা গামী সকল ট্রেন যশোর জংশন হয়ে ঢাকাতে যাবে নতুবা যশোর এক্সপ্রেস নামে একটি ট্রেন বেনাপোল হতে ঢাকা চালু করতেই হবে। “যশোর এক্সপ্রেস” নামে বেনাপোল- যশোর- ঢাকা” আরেকটি ট্রেন চাই। ঢাকা থেকে চোখের পলকে যশোর যাওয়া যাবে বলা হলেও এর মধ্যে রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি।
নতুন সূচি অনুযায়ী ঢাকা গামী মাত্র একটা ট্রেন চলবে যশোর জংসনের উপর দিয়ে যেটা বেনাপোল এক্সপ্রেস নামে পরিচিত। যা দিয়ে বর্তমানে যশোরের বিপুল সংখ্যাক যাত্রি পরিবহন সম্ভব নয়।
আর প্রায় সকল ট্রেনই খুলনা থেকে ছেড়ে এসে যশোর থেকে ১৪ কিলোমিটার দুরের স্টেশন ‘পদ্মবিলা’ দিয়ে যাবে ঢাকা। যেটা যশোর বললেও সেখানে যশোরের যাত্রী পাবেনা। কোনো স্যাটল ট্রেন দিয়ে এই সমষ্যার সমাধান হবেনা।
আর এই সব মুশকিলের সমাধান করতে গিয়ে কতৃপক্ষ যদি একাধিক ট্রেন চালায় তাহলে একটি রাস্তা হওয়ার কারনে বিরাট জ্যাম তৈরি হবে। সে ক্ষেত্রে ক্রসিং দিতে গিয়ে সকালের ট্রেন বিকেলে পৌঁছাবে গন্তব্যে।
তাই দক্ষিন বঙ্গের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন ও জনবহুল জেলা যশোরকে পাশ কাটিয়ে ট্রেনের সিডিউল তৈরি করা হলে কতৃপক্ষের চরম ভুল হবে।
কারন যে পরিমান যাত্রী যশোর শহর থেকে ট্রেনে যাতায়াত করে তার অর্ধেক যাত্রীও খুলনা থেকে হয়না।
তাই অনতিবিলম্বে খুলনা থেকে একটি ট্রেন কমিয়ে “যশোর এক্সপ্রেস” নামে “বেনাপোল টু ঢাকা” ট্রেন চালু করার জোর দাবি ।