ভোলার বোরহানউদ্দিনের ৪ নং কাচিয়া ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী উপহার মুজিববর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন ইউপি সচিবসহ কতিপয় ব্যক্তি।
জানাগেছে, অসহায় পরিবারগুলোর কাছ থেকে ঘর প্রতি ২ হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে উল্লেখিত সচিব এবং পদ্মামনসা আশ্রায়ণ প্রকল্প-১ এর সভাপতি শাহে আলম ও জনৈক নিরবের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সচিব ও ইউপি সদস্যদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। গত ২৯ মে সন্ধায় ৪ নং কাচিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুর রব কাজীর উপস্থিতিতে ইউপি সচিব ও সদস্যদের মধ্য তুমুল বাকবিতন্ডা হয়। যেহেতু, প্রকল্প বাস্তবায়নে চেয়ারম্যান সভাপতি ও ৮ নং ওয়ার্ড সদস্য সাধারণ সম্পাদক সেহেতু, আবেদন ফরমে এ দুজনের স্বাক্ষর থাকার কথা; কিন্তু সচিব সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরের পরিবর্তে অপকৌশলে দুইজন মহিলা ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর নিয়ে ১৩২ জনের চুড়ান্ত তালিকা বোরহানউদ্দিনের ইউএনও বরাবরে পাঠান।
এদিকে সচিবসহ চক্রটির হুমকির মুখে ভীতসন্ত্রস্ত উপকারভোগিরা ঘুষ দেয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে বলতে পারছেননা, এরপরও দুজন উপকারভোগীর ফোনালাপে জানাযায়, ১ জনের কাছ থেকে ২ হাজার এবং অপরজন থেকে ১০ হাজার টাকা সচিব ইউনিয়ন পরিষদে বসে গ্রহণ করেছেন মর্মে চাপা গুঞ্জণ রয়েছে, এভাবে ১৩২ জনের কাছ থেকে টাকা নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সচিব অহিদুর রহমান বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ঠিক নয়। ফরমে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের যেকোনো সদস্য স্বাক্ষর দিলেই হবে। তিনি বলেন, উপকারভোগী শুধু কাচিয়ার হতে হবে এমন নয়, বোরহানউদ্দিন উপজেলার হলেই চলবে। তিনি আরো বলেন, আশ্রায়ণ প্রকল্পের চুড়ান্ত তালিকা প্রণয়নে আমি পুরো সময় সংশ্লিষ্ট স্যারদের সাথে ছিলাম।
কাচিয়া ইউনিয়নে মুজিব বর্ষের ঘর বরাদ্দে কেন অনিয়ম, এপ্রশ্নের জবাবে ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবদুর রব কাজী বলেন, প্রধানমন্ত্রী উপহার মুজিববর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর বরাদ্দের সর্বময় ক্ষমতা বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার।
আশ্রায়ণের ঘর পাবার যোগ্য এমন অনেক রয়েছেন যারা চক্রটির ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়মের কারণে ঘর প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এছাড়া একই তালিকায় রয়েছে একই পরিবারের ৪ সদস্যের নাম। এটাও অনিয়ম। যেখানে আশ্রায়ণের একটি ঘর ভূমিহীন পরিবারের জন্য ‘স্বপ্ন’, সেখানে ‘স্বপ্ন”ভেঙ্গে দিচ্ছে তৃণমূলের দুষ্ট চক্র।
এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর নিয়ে এমন জালিয়াতি মেনে নেয়া যায়না। তারা দোষীদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ চান।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী উপহার মুজিববর্ষের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর নিয়ে সৃষ্ট অনিয়ম সরেজমিন তদন্ত করে সঠিক উপকারভোগীদের পাইয়ে দিতে বোরহানউদ্দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানান।