আবারও ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি করা হয়েছে। যার মধ্যে ১২০ টন বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে খালাসের প্রক্রিয়া চলছে। দেশীয় কাঁচামরিচের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রায় ১০ মাস পর আবারও কাঁচামরিচ আমদানি করা হচ্ছে।
গত দু’দিনে দেশের কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৩টি ট্রাকে মোট ১২০ টন কাঁচামরিচ ভারত থেকে আমদানি করে। যা পেট্রোপোল বন্দর দিয়ে খালাসের প্রক্রিয়া চলছে। কাচামরিচ আমদানিকারকরা হলেন, শিমু এন্টারপ্রাইজ, রাজ এন্টারপ্রাইজ ও সেঞ্চুরী প্লাগ। বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস হয়ে এসব কাঁচামরিচ যাবে ঢাকার তরকারি বাজারের প্রানকেন্দ্র কাওরান বাজারসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এদিকে বন্দর সূত্র জানায়, প্রতি টন ২৩৮ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হচ্ছে। কেজিতে সরকারকে ৩৯ টাকা আমদানি শুল্ক পরিশোধ করতে হয়েছে। এতে মরিচের বেনাপোল বন্দর পর্যন্ত আমদানি খরচ পড়ছে প্রায় ৭০ টাকা কেজি। এরপরও রয়েছে পরিবহন খরচ। তবে আমদানি শুল্ক কমালে কাঁচামরিচ কম দামে বাজারে সরবরাহ করতে পারবেন বলে জানান আমদানিকারকরা।
অপরদিকে, আমদানিকৃত কাঁচামরিচ যেন সিন্ডিকেটের হাতে চলে না যায় সেদিকে নজরদারি বাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ক্রেতারা। আমদানির খবরে এক দিনেই যশোরসহ বন্দর এলাকার পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ২০০ টাকা থেকে কমে ১৮০ টাকায় নেমেছে। তবে খোলা বাজারে এখনো ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, এর আগে চলতি বছরের প্রথম দিকে দেশে কাঁচামরিচের দাম ৪০ টাকা কেজি থেকে বেড়ে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছিল।
বেনাপোল বন্দরে খাদ্যদ্রব্যের মান পরীক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, প্রায় ১০ মাস পর ভারত থেকে আবার নতুন করে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয়েছে। আমদানিকারকরা যাতে দ্রুত তাদের পণ্য বন্দর থেকে খালাস করতে পারেন সে বিষয়ে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, গত দু’দিনে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ১২০ টন কাঁচামরিচ ১৩টি ট্রাকে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার পাঁচটি ট্রাকে ৩৭ টন ও বৃহস্পতিবার আটটি ট্রাকে ৮৩ টন কাঁচামরিচ বেনাপোল বন্দরে এসেছে। পণ্য চালান দ্রুত খালাস দিতে বন্দরের সংশ্লিস্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।